July 15, 2025, 9:07 pm
কে এম শহিদুল্লাহ,
সুনামগঞ্জপ্রতিনিধ :
সুমামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় মিথ্যা মামলায় ফেসেঁ গেলেন প্রবাসী আরাফাত রুবেল। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে। প্রবাসী আল আরাফাত রুবেলকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এবং জরিতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত ভাবে অভিযোগ ও আবেদন জানিয়েছেন আল আরাফাতের স্ত্রী ফারহানা জাহান । লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার মামলা নাম্বার ০৯ তারিখ- ১০/০২/২০২৫ ইং ধারা, ঞযব ঝঢ়বপরধষ চড়বিৎ অপঃ.১৯৭৪ এর ১৫(৩)২৫উ। মামলায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে ইউরোপ রোমানিয়া প্রবাসী আল আরাফাত রুবেল দেশে ছুটিতে আসার পর গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন জামালগঞ্জ থানা পুলিশ। জানা যায় ২০২৪সালে জুলাই আগষ্টের ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জামালগঞ্জ থানাধীন০৬নং জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আরাফাত রুবেল প্রবাসে ছিলেন। তিনি গত দুইবছর যাবত প্রবাসে থাকেন। ঘটনাস্থলে দেশেই ছিলেন না আল আরাফাত রুবেল অথচ থাকে গ্রেফতার কারা হয়েছে? লিখিত অভিযোগে জানা য়ায় দীর্ঘদিন যাবত ইউরোপের রোমানিয়া (প্রবাসে) অবস্থান করছিলেন আরাফাত রুবেল। বিগত ২১/০৪/২০২৫ ইং তারিখে (০২)দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন পবিত্র উদুল আযহা উপলক্ষে স্বজনদের সাথে দেশে উদ উযযাপন করার জন্য। মামলার তারিখ ও সময়ের ঘটনা স্থলে তিনি প্রবাশে ছিলেন ঘটনা স্থলে দেশে ছিলেন না আরাফাত রুবেল। তিনি দেশে আসার পর ১৬/০৬/২০২৫ ইং তারিখ রোজ সোমবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটের সময় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হঠাৎ করে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন আরাফাত রুবেলকে? মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি তারপর ও পুলিশ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন আরাফাত রুবেলকে? লিখিত অভিযোগে ফারহানা জাহান উল্লেখ করে আর জানান তিনি বলেন আমার নিরঅপরাধ স্বামীকে অন্যায় ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেন। আমার স্বামী আল আরাফাত রুবেল, পিতা- আব্দুর রহমান, সাং উত্তর কামলাবাজ ইউপি- ০৬নং জামালগঞ্জ উত্তর, থানা জামালগঞ্জ। সুত্রে বর্ণিত মামলার অপরাপর আসামীদের সহিত যোগসুত্রে বর্তমান অন্তবর্ততী কালীন সরকারের বিরুদ্ধে কোন ষরযন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন না। আমার স্বামী একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা তিনি প্রবাসে থেকে জুলাই আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রদের একত্বতা পোষন করে আমার স্বামী তাহার ফেইসবুক অখ অৎধভধঃ জঁনবষ নামের আইডি থেকে বর্তমান সরকারের এবং জুলাই আগস্টের ছাত্রদের আন্দোলনের প্রশংসা করেন। যার তথ্য প্রমাণ আমার স্বামীর আইডিতে পোষ্ট করা আছে। এছাড়া ও আমার স্বামী প্রবাস থেকে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জামালগঞ্জ নিরীহ ছাত্র সমাজকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন।
তিনি আরও বলেন আমার স্বামী প্রবাসে থেকে কীভাবে সরকার পতনের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেন সেটা মোটেই কাম্য নয়। আমার স্বামী দেশে আসার পর জামালগঞ্জ থানার এসআই পংকজ ঘোষ আমার স্বামীর কাছে বড় অংকের টাকা দাবি করেন এবং পংকজ ঘোষ জানান তাহাকে বড় অংকের টাকা না দিলে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলার আসামী করবেন? ঠিক তেমনি ভাবে জামালগঞ্জ থানার এসআই পংকজ ঘোষ টাকা না পেয়ে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছেন? তিনি আরও বলেন আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরন করায় আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিনাতীপাত করছি। এরকম অন্যায় অত্যাচার যদি করা হয় আমরা সুখে শান্তিতে থাকি কি করে। ফারজানা জাহান বলেন এসআই পংকজ ঘোষ, আমার স্বামীকে চার্জশীট থেকে নাম বাদ দিবে বলিয়া মোটা অংকের টাকা দাবি করছে? জুলাই যোদ্ধাদের কে এবং বর্তমান সরকারকে প্রবাসে থেকে সহযোগিতা করার পরও আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হল। আমিও পুলিশের চাহিতো টাকা না দেওয়ার কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। জামালগঞ্জ থানা পুণিশ এর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিলে আমিও আমার আতœীয়স্বজনকে মিত্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করিবে বলিয়া বাসায় এসে থানা পুলিশ হুমকি দিচ্ছে? উপরোক্ত মিত্যা মামলার কারনে আমি ও আমার পরিবারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি পুলিশের অন্যায় অত্যাচারের বিচার চাই। পুলিশ সুপার সুষ্ঠতদন্তের মাধ্যমে আমার স্বামী আল আরাফাত রুবেলকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিবেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেবেন। আমি স্বামীর মুক্তির জন্য সুবিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ পুলিশ হেড কোয়াটার (আইজিপি) বরাবরে আবেদন করেছি।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন নিরঅপরাধ মানুষকে পুলিশ মিথ্যা ভাবে হয়রানি করবে এমন সুযোগ নেই। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বলে দিয়েছি বিষটি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য।##